টেকনাফে মোটর সাইকেল দূঘর্টনায় নিহত কলেজ ছাত্রের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

মৃত্যু তোমাকে দাওয়াত দিলাম,সিজদাহ্ অবস্থায় আইসো, এমন স্ট্যাটাস লিখে সপ্তাহ পর না ফেরার দেশে শামীম

মৃত্যু তোমাকে দাওয়াত দিলাম, পারলে সিজদাহ্ অবস্থায় আইসো….

একদিন সবাইকে এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে, মা বাবা ভাই বোন, বন্ধু বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশীর মায়া টা মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। কারো সাধ্য নেই মৃত্যুর কাছে সময় চেয়ে নেয়া “আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকি এমনটা বলার ” নিষ্ঠুর মৃত্যুর সময় আসলে ঠিকই সকল বন্ধন ছাড়তেই হবে….

বিশেষ প্রতিবেদক :

গতকাল মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন কক্সবাজার সিটি কলেজছাত্র মো. শামীম (২০)। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাজামপাড়া এলাকার আবু সিদ্দিক মিস্ত্রির ছেলে।

শামীমের এইভাবে অকালে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেনা।

মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে গত ৩১ জানুয়ারি নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে শামীম তার শেষ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন- ‘মৃত্যু তোমাকে দাওয়াত দিলাম পারলে সিজদা অবস্থায় আইসো।’

এর কয়েক দিন আগে লেখেন- ‘কবর এমন এক ঘর যেখানে ধনী-গরিব সবাই সমান, পার্থক্য শুধু নেক আমলের। তারও কয়েক দিন আগে ২০ জানুয়ারি ফেসবুকে কাফনের কাপড়, আগরবাতির ছবি দিয়ে লেখেন- এগুলোই হলো আমাদের জীবনের শেষ উপহার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টার দিকে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হন কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্র টেকনাফের মো: শামীম(২০)। মৃত্যুর পর তার বন্ধুরা ফেইসবুকে এধরনের একের পর এক স্ট্যাটাস আবিস্কার করেন। এতে অনেকেই লিখেন তাহলে কি বন্ধু তুমি মৃত্যুকে চিনতে পেরেছিলে।

তার সাথে বাইকে থাকা ফিরোজ(২২) নামে অপর আরোহী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে শামীমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।